ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ফিন্যান্সিয়াল কাস্টমার সার্ভিসেস-২ - ব্যাংকিং ঋণ পরিচালনা | NCTB BOOK

জনাব কামাল এবং জনাব রসিদ দু'জনই ব্যবসায়ী। জনাব রসিদ মোট মূলধনের ৮০% ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু জনাব কামালের ব্যবসায় সম্প্রসারণে মূলধন সরবরাহ করতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। জনাব রসিদ জনাব কামালকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বলেন। তিনি নিজের উদাহরণ টেনে বলেন, কারখানা স্থাপন, মেশিন বসাতে এক ধরনের ঋণ নিয়েছেন যা অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন। চলতি মূলধনের জন্যও ঋণ নিয়েছেন, যার জন্য পৃথক ঋণ হিসাব খুলতে হয়েছে। পণ্য জামানত রেখে এ হিসাব থেকে তিনি ঋণ নেন। সময়-সুযোগমতো ঋণ পরিশোধ করেন। আবার, পণ্য রপ্তানিতে ব্যাংক থেকে দলিলের মাধ্যমেও অর্থ সংস্থান করতে পারেন। জনাব কামাল ভাবেন, এতো রকমের ঋণ ব্যাংক দেয়। ব্যাংক একজন গ্রাহককে শর্তসাপেক্ষে যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাকে ব্যাংক ঋণ বলে। এখানে শর্তের বিষয়টি গ্রাহক ও ব্যাংকের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নির্ধারিত হয়। ব্যাংক নানা ধরনের ঋণ ব্যবস্থার প্রচলন করে থাকে। সরকারি নীতির সমর্থন, দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ, শিল্পায়ন ও ব্যবসায়িক প্রয়োজন পূরণে ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা প্রদান করে। নিচে একটি ছকের সাহায্যে ব্যাংক ঋণের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো-

১. প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ (Bank credit on the basis of nature) :  ব্যাংক তার গ্রাহককে চাহিদা ও ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে যে ঋণ প্রদান করে তাকে প্রকৃতিভিত্তিক ঋণ বলে। এর প্রকারভেদ নিম্নরূপ :

ক. তহবিল থেকে প্রদত্ত ঋণ ( Loans provided from the fund) : আমানতকারীর চেকের মর্যাদা করার লক্ষ্যে ব্যাংক যথাযথ নগদ বা তারল্য সংরক্ষণ করে থাকে। পরবর্তীতে ঋণগ্রহীতার আবেদনের ফলে ব্যাংক তার তহবিল থেকে যে অর্থ সহায়তা করে তাকে তহবিল থেকে প্রদত্ত ঋণ বলে। এ ঋণ গ্রাহককে চলতি হিসাবের বা ঋণ হিসাবের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তিনভাবে এই ঋণ দেওয়া হয়—

• ধার ( Borrow) : ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্দিষ্ট সুদের হারে গ্রাহককে অগ্রিম প্রদান করলে তাকে ধার বলে। স্বল্প, মধ্যম বা দীর্ঘ যেকোনো মেয়াদেই এই ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের অর্থ নগদে না দিয়ে গ্রাহকের চলতি হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। গ্রাহক প্রয়োজনে চেক কেটে ঋণের অর্থ ব্যবহার করে। চলতি হিসাব না থাকলে গ্রাহককে পৃথক ঋণ হিসাব খুলতে হয়। এই ঋণ গ্রহণের জন্য গ্রাহক যতখানি ঋণ নেয় তার সম্পূর্ণটার ওপরই সুদ দিতে হয়। ঋণের অর্থ সুদসহ একসঙ্গে ফেরত দিতে হয় অথবা কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। জামানতের বিপরীতে এই ঋণ দেওয়া হয়। 

• নগদ ঋণ (Cash loan) : ব্যাংক মূল্যবান জামানত, যেমন: বন্ড বা সিকিউরিটি অথবা ব্যক্তিগত জামানত রেখে যে ঋণ দেয় তাকে নগদ ঋণ বলে। সে সম্পত্তি জামানত হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক থাকে। তবে সম্পত্তির ভোগ দখল ঋণগ্রহীতা করে থাকে। কেবল উত্তোলিত অর্থের ওপর গ্রাহক ব্যাংককে সুদ দেয়। ঋণের অর্থ সুদসহ কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।

• জমাতিরিক্ত ঋণ ( Overdraft) : চলতি হিসাবে জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত যে পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা যায় তাকে জমাতিরিক্ত ঋণ বলে। চলতি হিসাবের গ্রাহকগণ স্বল্প সময়ের জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে আমানতি অর্থের চেয়েও অতিরিক্ত অর্থ ঋণ হিসাবে উত্তোলন করার সুযোগ পায়, যা জমাতিরিক্ত ঋণ হিসেবে পরিচিত। ব্যাংক সাধারণত দীর্ঘদিনের পরিচয়, বিশ্বস্ততা ও সুনামের ভিত্তিতে গ্রাহককে এই ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত ও অব্যক্তিগত উভয় প্রকার জামানতের বিপরীতে ব্যাংক এই ঋণ মঞ্জুর করে। খুব অল্প সময়ের জন্য গ্রাহকগণ এই ঋণের সুবিধা পেয়ে থাকে। এই ঋণে কেবল উত্তোলিত অর্থের ওপর সুদ দিতে হয়।

২. সময় অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ (Bank credit on the basis of time ) : ঋণগ্রহীতা কত সময়ের মধ্যে ঋণকৃত অর্থ সুদসহ ব্যাংককে ফেরত দিবে তাকে ব্যাংক ঋণের মেয়াদ বা সময় বলে। সময়ের ওপর ভিত্তি করে তিন ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়, যথা :

ক. স্বল্পমেয়াদি ঋণ (Short-term loan) : এক বছর বা তার কম সময়ের জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণের অর্থ সুদসহ কিস্তিতে বা একসাথে ফেরত দিতে হয়। এটি দুইভাবে প্রদান করা হয়। যেমন—

• চাহিবামাত্র পরিশোধিত ঋণ (Debt repayment on demand) : সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ব্যাংক অর্থ ফেরত চাইলে গ্রাহক তা দিতে বাধ্য থাকে।

• স্বল্পমেয়াদি নোটিশে দেয় ঋণ ( Loans on short notice) : গ্রাহকদের ৭ দিন থেকে ১৫ দিন মেয়াদে এই ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ব্যাংক নোটিশ দিয়ে যেকোনো সময় অর্থ আদায় করতে পারে।

খ. মধ্যমমেয়াদি ঋণ (Mid-term loan) : এক বছর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্তে এই ঋণ দেওয়া হয়। সাধারণত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জামানতের বিপরীতে ব্যাংক এই ধরনের ঋণ মঞ্জুর করে।

গ. দীর্ঘমেয়াদি ঋণ (Long-term loan) : পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি সময়ে পরিশোধের শর্তে ব্যাংক এই ঋণ মঞ্জুর করে। এই ঋণের সুদের হার বেশি। সুদ ছাড়া ব্যাংককে সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। কারখানা স্থাপন, গৃহ নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে এ ঋণ ব্যবহৃত হয়। জামানত ছাড়া এ ঋণ পাওয়া যায় না।

৩.জামানতের ভিত্তিতে ঋণ (Bank credit on the basis of mortgage ) : ব্যাংক ঋণের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তার জন্য ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রাখে। এই জামানত রাখা বা না রাখার ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ঋণ দুই ধরনের হয়। যথা :

ক. জামানতযুক্ত ঋণ (Collateral loan) : বিভিন্ন প্রকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে জামানত রেখে যে ঋণ দেওয়া হয় তাকে জামানতযুক্ত ঋণ বলে । 

খ. জামানতমুক্ত ঋণ (Collateral free loan) : ব্যাংক তার দীর্ঘদিনের পরিচিত, সৎ, সচ্ছল, সুনামের অধিকারী, গ্রাহককে জামানত ছাড়াই ঋণ প্রদান করে। এ ঋণে ঝুঁকি বেশি। কোনো কারণে অর্থ আদায় না হলে ব্যাংককে এই ঋণ আদায়ের জন্য আদালতের আশ্রয় নিতে হয়।

৪. উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ (Bank credit on the basis of objectives) : ঋণগ্রহীতা কী উদ্দেশ্যে ঋণ নিচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে ব্যাংক দুই ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে। যথা-

ক. বাণিজ্যিক ঋণ (Commercial loan) : ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে বাণিজ্যিক ঋণ বলে। 

খ. অবাণিজ্যিক ঋণ (Non-commercial loan) : ব্যবসায় উদ্দেশ্য বহির্ভূত অর্থাৎ নিজস্ব প্রয়োজনে যে ঋণ প্রদান করা হয় তাকে অবাণিজ্যিক ঋণ বলে। 

গ. বাণিজ্যিক দলিলি ঋণ (Commercial document loan) : যে ঋণের দলিল ব্যাংক ব্যবসা- বাণিজ্যে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ইস্যু করে তাকে বাণিজ্যিক দলিলি ঋণ বলে। এসব দলিল ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত হয়। এ দলিলগুলো হচ্ছে—

★ প্রত্যয়পত্র (Letter of credit) : আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুকূলে ব্যাংক ইস্যুকৃত অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্রকেই প্রত্যয়পত্র বলে। এটি ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য অসম্ভব।

★ আজ্ঞাপত্ৰ (Demand draft) : যে ঋণের দলিলের মাধ্যমে কোনো ব্যাংক তার অন্য কোনো শাখা বা অন্য কোনো ব্যাংককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চাহিবামাত্র পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করে তাকে আজ্ঞাপত্র বলে। এ দলিল Buyer Buyer's Bank Issuing Bank অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

★ পে-অর্ডার (Pay-order) : যে ঋণের দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করে তাকে পে-অর্ডার বলে। স্থানাস্তরের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। এটি হস্তান্তর অযোগ্য। এটি সাধারণত একই জেলা বা নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে ব্যবহৃত হয়।

★ ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিপত্র ( Banker's letter of commitment) : এটি ব্যাংক প্রদত্ত এমন একটি ঋণের দলিল যার মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয়। ঋণ পরিশোধের পরেই নিশ্চয়তাপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ দলিল ঋণের জামানত হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ঘ. অবাণিজ্যিক দলিলি ঋণ (Non-commercial document loan) : যে দলিলি ঋণ অব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ঋণগ্রহীতার ব্যক্তিগত কাজের স্বার্থে প্রদান করা হয় তাকে অবাণিজ্যিক দলিলি ঋণ বলে। এ দলিলগুলো হলো-

• ভ্রমণকারীর প্রত্যয়পত্র (Traveler's certificate ) : যে প্রত্যয়পত্র ইস্যুর মাধ্যমে ব্যাংক তার বিদেশস্থ শাখা বা প্রতিনিধিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাহিবামাত্র ভ্রমণকারীকে পরিশোধের নির্দেশ দেয় তাকে ভ্রমণকারীর প্রত্যয়পত্র বলে।

• ভ্রমণকারীর চেক (Traveler's cheque): যে চেক ব্যাংক ভ্রমণকারীকে ভ্রমণে অর্থ সংকট নিরসনের জন্য ইস্যু করে এবং বিদেশস্থ শাখা বা প্রতিনিধিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উক্ত চেকের বিপরীতে প্রদানের আদেশ দেয় তাকে ভ্রমণকারীর চেক বলে। এই চেক পাওয়ার জন্য ব্যাংকে হিসাব থাকার দরকার হয় না। কেবল অর্থ জমা দিয়েই এই চেক গ্রাহক পেতে পারে।

• ভ্রাম্যমাণ নোট (Traveling notes) : এটি এমন একটি ঋণের দলিল যার অর্থ চাহিবামাত্র ব্যাংক তার বিদেশস্থ শাখা বা প্রতিনিধির মাধ্যমে গ্রাহককে অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দেয়। এই নোটের সাথে একটি নির্দেশপত্র যুক্ত থাকে। যেখানে প্রাপকের নাম, নমুনা স্বাক্ষর, ক্রমিক নং, নোটের সংখ্যা, অর্থ পরিশোধকারী শাখা বা প্রতিনিধির নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকে।

• সার্কুলার চেক (Circular cheque): যে প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ভ্রমণকারী বা পর্যটক বিদেশস্থ প্রচারকারী ব্যাংকের একাধিক শাখা বা প্রতিনিধির নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে তাকে সার্কুলার চেক বলে। এ চেকের সাথেও নির্দেশপত্র যুক্ত থাকে, যাতে প্রাপকের নমুনা স্বাক্ষর ও পরিচিতি দেওয়া থাকে। টাকা গ্রহণের সময় স্বাক্ষর ও পরিচিতি মিলিয়ে দেখা হয়।

▪️অন্যান্য খাতে প্রদত্ত ঋণ (Credit given at other sectors ) :

ক. লিম (LIM): লিম (Loan against Imported Merchandise) ঋণ সুবিধা সাধারণত আমদানি করা পণ্য জামানতের বিপরীতে দেওয়া হয়। এ ঋণে আমদানি করা মালামাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঋণগ্রহীতা নগদ টাকা পরিশোধ করে এর ডেলিভারি নেয়। সাধারণত ৪৫ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ ঋণ সমন্বয় করতে হয়।

খ. এল.টি.আর (L.T. R.) এ ঋণ ( Loan against Trust Receipt) হলো লিমের মত আমদানি করা মালের ওপর এক ধরনের ঋণ সুবিধা। এক্ষেত্রে ট্রাস্ট রসিদ দিয়ে ব্যাংক থেকে পণ্য ডেলিভারি নেয়। এই পণ্য বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে (Colleteral) জামানত নেওয়া হয়।

গ. রপ্তানি-পূর্ব ঋণ (Packing or pre-shipment credit) : সাধারণত রপ্তানিকারককে পণ্য রপ্তানির জন্য এ ধরনের ঋণ দেওয়া হয়। রপ্তানি পণ্যের জন্য কাঁচামাল কেনা, উৎপাদন, প্যাকিং এবং তা জাহাজে তোলার উদ্দেশ্যে এ ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া রপ্তানি আদেশ, স্থির প্রত্যয়পত্র এবং রপ্তানি পণ্যের দখলহীন বন্ধকের বিপরীতে চলতি মূলধন হিসেবে এ ঋণ দেওয়া হয় ।

ঘ. রপ্তানি-উত্তর ঋণ (Post shipment credit): রপ্তানি-উত্তর ঋণ রপ্তানিকারকের পক্ষে একটি ঋণ সুবিধা। সাধারণত রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের পর এবং তার মূল্য পাওয়ার আগে রপ্তানিকারককে সাহায্য করার জন্য এ ঋণ দেওয়া হয়। জাহাজী চালান বা সমজাতীয় দলিলের বিপরীতে ব্যাংক এ ঋণ দেয়।

ঙ. বিল ক্রয় ও বাট্টাকরণ (Purchase and discount of bills): এটি একটি নিরাপদ ও সুবিধাজনক ঋণ। সাধারণত মেয়াদপূর্তির আগে গ্রাহকের কাছ থেকে কমমূল্যে এ ধরনের বিল কিনে বা বাট্টা করে ব্যাংক গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দেয়। এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে বিলের সাথে বিভিন্ন দলিলাদি যেমন : রেলওয়ে রসিদ, জাহাজী চালান, পার্সেল ওয়ে বিল ও বিনিময় বিল সংযুক্ত থাকে। তাই এ বিল বেশি নিরাপদ।

চ. পি.এ.ডি. (PA.D. Payment Against Document): এক্ষেত্রে আমদানি বিল পরিশোধের - মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহককে যে ঋণ দেয় তাকে বোঝায়। সাধারণত খ্যাতনামা ও প্রতিষ্ঠিত গ্রাহকদের ব্যাংক এ ঋণ দেয়।

Content added || updated By
Promotion